অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীসহ দেশব্যাপী জমে উঠছে কোরবানির পশুহাট। তবে চোরাই পথে ভারতীয় বা বিদেশী গরু এলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে শঙ্কায় দিন কাটছে খামারিদের।
এদিকে কোরবানির পশু নিরাপদ করতে গরু মোটা তাজাকরণে ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার বন্ধে প্রাণী-সম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতেও খামারে খামারে তদারকি বাড়ানো হয়েছে। তবে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালন-পালনে খরচ বেড়ে গেছে বলে দাবী খামারিদের। তাই চোরাই পথে বিদেশী গরু হাটে এলে লোকসানের মুখে পড়ার শঙ্কায় দিন গুনছেন তারা।
অবশ্য এরিমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহর কিংবা জেলা উপজেলায় বসতে শুরু করেছে পশুর হাট। বাড়ছে ক্রেতাদের উপস্থিতি। শহরের চেয়ে গ্রামের হাটই বেশি জমজমাট হয়ে উঠছে এখনই। কারণ শহরে পশু রাখার স্থান সংকটে হাট জমবে শেষ দিকে।
এদিকে, স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে কোন কোন এলাকায় হাটে সিসি ক্যামেরাও বসানো হয়েছে। কিন্তু সেসব হাটে পশুর সংখ্যা কম বলে জানান ক্রেতারা। আর ইতোমধ্যে যে সব হাটে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে সেখানে দাম চড়া বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
খামারিরা বলছেন, কোন প্রকার রাসায়নিক বা ক্ষতিকারক ওষুধ প্রয়োগ না করে দেশীয় পদ্ধতিতে খড়,তাজা ঘাস ও ভুষিসহ পুষ্টিকর খাবার খাইয়ে গরু মোটা তাজাকরণ করা হচ্ছে। তাই দেশী গরুর দাম খানিকটা বেশি।
এদিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে খামারের গরু-ছাগল ও মহিষের ছবি আপলোড করে অনেক খামারিরা অনলাইনের মাধ্যমে গরু, ছাগল,মহিষ বিক্রিও শুরু করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন হাটে যাতে অসুস্থ বা রুগ্ন কোন পশু কেউ বিক্রি করতে না পারে এবং খামারিরা যাতে কোন প্রকার স্টেরয়েড ও হরমোন ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য মেডিক্যাল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এছাড়া খামারিদের কাউন্সিলিং এবং পরামর্শ দিচ্ছে, প্রাণী সম্পদ অফিসগুলোও।
প্রাণী সম্পদ বিভাগের ভৈরব উপজেলা কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান জানান, তৃনমূল থেকে শুরু করে প্রত্যেক খামার ও হাটে এবার পশু তদারকি জোরদার করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেছেন , কুরবানিতে দেশে চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি পশুর। এবার প্রস্তুতি রয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি, অর্থাৎ চাহিদার বাইরে উদ্বৃত্ত ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু কুরবানির জন্য প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।
Leave a Reply